এসব ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারী যেমন নিরাপদে ই-মেইল পাঠাতে পারেন, পাশাপাশি সহজে মেইল লিখতেও পারেন।
ব্যক্তিগত বা কাজের প্রয়োজনে জিমেইলের মাধ্যমে নিয়মিত ই-মেইল আদান-প্রদান করেন অনেকে। “জিমেইল” ইন্টারনেট জায়ান্ট গুগলের বিনামূল্যের ই-মেইল সেবা। ই-মেইলের ক্ষেত্রে এখন জিমেইল বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয়ই বলা যায়। তবে এই জিমেইলে থাকা প্রয়োজনীয় বেশকিছু ফিচার অনেকেরই অজানা।
চলুন, জেনে নেওয়া যাক জিমেইলর কিছু ফিচার সম্পর্কে-
ইন্টারনেট ছাড়া জিমেইল ব্যবহার
ব্যবহারকারীরা চাইলে ইন্টারনেট ছাড়াই জিমেইল ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এই সুবিধা পাওয়ার জন্য “অফলাইন অ্যাক্সেস মোড” চালু থাকা লাগবে। এই মোডে জিমেইল অনুসন্ধান এবং প্রতিক্রিয়াও জানাতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। উল্লেখ্য, এই ফিচারটি শুধুমাত্র গুগোল ক্রমের সঙ্গেই কাজ করে।
“অফলাইন অ্যাক্সেস মোড” চালু করার জন্য প্রথমে জিমেইলে প্রবেশ করতে হবে। তারপর “সেটিংস” আইকনে ক্লিক করতে হবে এবং “সি অল সেটিংস”-এ ক্লিক করতে হবে। তারপর উপরে “অফলাইন”-এ ক্লিক করে চালু করতে হবে।
অ্যাডভান্স সার্চ
জিমেইলে অনেক সময় কাঙ্ক্ষিত বিষয়বস্তু খুঁজে পেতে ঝামেলা পোহাতে হয়। তবে এই সমস্যার রয়েছে “অ্যাডভান্স সার্চ” সুবিধা। জিমেইলের সার্চ বক্সে গিয়ে ই–মেইল অ্যাড্রেস লেখার পর বিভিন্ন সার্চ ফিল্টার দেখা যাবে। সেখানে অ্যাটাচমেন্ট, ডেট ইত্যাদি ব্যবহার করে সহজে ই-মেইল খোঁজা যায়।
দ্রুত মেইল লিখতে ‘স্মার্ট কম্পোজ’
“স্মার্ট কম্পোজ” ফিচার ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা দ্রুত ই-মেইল লিখতে পারেন। এটি মেশিন লার্নিং-এ চলে এবং পরামর্শ দেয়। আর এই “স্মার্ট কম্পোজ” হচ্ছে একটি গুগোল অ্যাকাউন্ট লেভেল সেটিং। “স্মার্ট কম্পোজ” সেটিংসে করা পরিবর্তনগুলো অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করা থাকলে তা কার্যকর হয়।
এই ফিচার অ্যাক্টিভ করার জন্য আপনাকে জিমেইল থেকে ওপরের “সেটিংস” আইকনে ক্লিক করতে হবে। তারপর “সি অল সেটিংস” এবং “জেনারেলে” গিয়ে “স্মার্ট কম্পোজ” চালু করতে হবে।
কনফিডেনশিয়াল মোড
এই ফিচারের মাধ্যমে নিরাপদে ই-মেইল পাঠানো যায়। কারণ, “কনফিডেনশিয়াল মোড” ব্যবহার করলে ই-মেইল একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার পর নিজে থেকেই ডিলিট হয়ে যাবে, যা নিরাপত্তা বজায় রাখে। আর কনফিডেনশিয়াল মোডের মাধ্যমে পাঠানো ই-মেইলের স্ক্রিনশট নেওয়া যায় না। এমনকি ডাউনলোড, প্রিন্ট বা ফরোয়ার্ডও করা যায় না।
এই ফিচারটি চালু করার জন্য কম্পোজ বাটনে ক্লিক করে ই-মেইল লেখার পর নিচের দিকে থাকা “প্যাডলক ক্লক আইকনে” ক্লিক করে “কনফিডেনশিয়াল মোড” চালু করতে হবে। এরপর “সেট এক্সপাইরেশন” অপশন থেকে ই-মেইলের সুরক্ষার তারিখ নির্ধারণ করতে হবে। এরপর সেন্ড বাটনে ক্লিক করলেই ই-মেইলটি নির্দিষ্ট ঠিকানায় চলে যাবে।
সোয়াইপ সুবিধা
স্মার্টফোনের জিমেইল অ্যাপে “সোয়াইপ” করে ই-মেইল আর্কাইভ, ডিলিট, রিড বা আনরিড করা যায়। সাধারণত ডান এবং বাম দিকে সোয়াইপ করলে ই–মেইল আর্কাইভ করা যায়। তবে ব্যবহারকারী চাইলে এখানে নিজের পছন্দমতো অপশন যুক্ত করতে পারেন। যেমন সোয়াইপ করে ই–মেইল মুছে ফেলা, রিড বা আনরিড মার্ক করাও যায়।
আর এজন্য অ্যাপের সেটিংসে প্রবেশ করে জেনারেল সেটিংস অপশন থেকে “ই–মেইল সোয়াইপ অ্যাকশনে” গেলেই “রাইট সোয়াইপ” ও “লেফট সোয়াইপ” অপশন পাওয়া যাবে। পছন্দের অপশন ব্যবহারের জন্য “চেঞ্জ” সিলেক্ট করলেই হবে।