আল্লাহ ও নবীকে অবমাননা, কটুক্তিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে বাংলাদেশে ব্লাসফেমি আইন বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রানিহাটি ইউনিয়নের লালাপাড়া মোড় সংলগ্ন আমবাগানে এক তাফসির মাহফিলের বয়ানে তিনি এ দাবি জানান।
তাফসির মাহফিলে ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, শান্তিপ্রিয় ইসলামপ্রিয় জনতাকে উত্তেজিত করতে নবীকে গালি দেয়া হচ্ছে। আল্লাহর নামে এমন অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে, যেগুলো মুখে তোলা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। আজকের এই বিশাল তাফসীর কোরআন মাহফিল থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বিনীত আবেদন, আপনারা শান্তিপ্রিয় মুসলিম জনতার ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেলে জনতা নিজেই আইন প্রয়োগ ও বিচার করার দায়িত্ব হাতে তুলে নেবে। এটা আমরা চাই না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা আল্লাহ ও তার রাসুলকে নিয়ে কটু কথা বলে, খাটো করে, অবমাননার শব্দ ব্যবহার করে, অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে, তাদের ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করি৷ বাংলাদেশে ব্লাসফেমি আইন বাস্তবায়ন করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে জনগণ যদি বিচার হাতে তুলে নেয়, তাহলে এই বিশাল জনস্রোতকে থামানো সম্ভব না। আমরা শান্তি চাই। আল্লাহর নবীর বিরুদ্ধে কবিতা, গদ্যের নামে শব্দচয়নকে, অশ্লীলতা আমরা মেনে নেব না।’
ডা. মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ‘আমরা প্রিয় নবীর জন্য জীবন বিলিয়ে দিতে রাজি আছি। এজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বিনীত আবদেন জানাই, দেশের পরিস্থিতি আরও নাজুক হওয়ার আগেই যারা এসমস্ত অবমাননার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান জারি করতে হবে।’
তাফসির মাহফিলে জাবালুন নুর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবু জার গিফারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। এছাড়াও প্রথম অধিবেশনে আলোচনা করেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার ও বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মো. নুরুল আমিন।
তাফসির মাহফিলে ড. মিজানুর রহমান আজহারী আসন্ন পবিত্র রমজান মাসের করণীয় ও বর্জনীয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এর আগে গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকেই মাঠে আসেন হাজার হাজার মুসল্লি। রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, বগুড়া, জয়পুরহাটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ মাঠে এসে বয়ান শোনার জন্য অপেক্ষা করেন। এছাড়াও পাশের দেশ ভারত থেকেও অনেক মুসল্লি আসে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর বেলা ৩টার দিকে মিজানুর রহমান আজহারী বয়ান শুরু করেন। এই মাঠ ছাড়াও পুরুষরা ৩টি ও নারীরা ৪টি মাঠে জনসমাগম হয়।